মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধের সময় সারাদেশে মোট ৯শ’ ৬৮ জন শিক্ষাবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন শিক্ষক ও ৪১ জন আইনজীবীসহ ১ হাজার ২০ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে বিজয়ের ঠিক আগ মূহূর্তে ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮ জন বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত চৌধুরী মাঈনুদ্দীন। গত সোমবার শেষ হয়েছে বিচার কাজ। এখন রায়ের অপেক্ষায় মাইনুদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ফেনীর লাখো মানুষ।
৭১’এ বুদ্ধিজীবী হত্যার অন্যতম খুনি চৌধুরী মাঈনুদ্দীন। কেবল সারাদেশে নয়, একাত্তরে নিজ জেলার বুদ্ধিজীবীদেরও হত্যা করেন তিনি। মাঈনুদ্দিনের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও গণহত্যাসহ ৫ ধরণের ১১টি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এসব অপরাধে গেল ৩১ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে বিচার কাজ। এখন অপেক্ষা কেবল রায়ের।
পাক হানাদারদের সহায়তায় শহীদুল্লাহ কায়সার, সেলিনা পারভীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডক্টর মাহি বি চৌধুরী ও অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীসহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত চৌধুরী মাঈনুদ্দীন।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের প্রধান হোতা চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ফেনীর সর্বস্তরের মানুষ।