কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের পাশের আলিপুর এলাকা থেকে সোমবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোহাগী জাহান তনু (১৮) ওই কলেজের ইতিহাস বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্রী ও কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে।
নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরিবারের অস্বচ্ছলতার কারণে বাসার নিকটবর্তী অলিপুর গ্রামে প্রাইভেট পড়িয়ে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছিল সোহাগী। গত রোববার বিকেলে প্রতিদিনের মতো সে ঘর থেকে প্রাইভেট পড়াতে বের হয়। পরে সোমবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সামসুজ্জামান জানান, সোহাগীর মরদেহের ময়নাতদন্তের পর জানা যায় তাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এমএ/এসএস
কুমিল্লায় সেনানিবাস এলাকায় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার রাতে ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের কাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
নিহত সোহাগী জাহান তনু (১৯) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের (ভিসিটি) সদস্য ছিলেন।
সোহাগী ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার অলিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে।
তাদের গ্রামের বাড়ি তিতাস উপজেলায়। তারা অলিপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সোহাগী মেজ।
পরিবারের বরাত দিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্র মাইনুল হক স্বপন জানান, আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে সোহাগী অলিপুর গ্রামেই এক বাসায় টিউশনি করতেন। রোববার সন্ধ্যায় টিউশনি শেষে বাসায় ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। পরে তার লাশ পাওয়া যায়।