নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুনের দুই বছর আজ। নানা নাটকীয়তার পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দু’টি মামলায় নূর হোসেন ও রেবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর শুরু হয়েছে বিচার কাজ। বিচারকাজ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তুষ্ট হলেও, নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ না করায় ক্ষুব্ধ নিহতদের স্বজনরা। পাশাপাশি, নূর হোসেনের সহযোগীদের বিরুদ্ধে উঠেছে হুমকির অভিযোগ। তবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি জেলার পুলিশ সুপারের।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল অপহৃত হন আইনজীবী চন্দন সরকার, প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাত জন। ৩০শে এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে ওঠে তাদের মরদেহ।
ঘটনার পর কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি মামলা হয়। তদন্ত শেষে, গত বছরের ৮ এপ্রিল ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় গ্রেফতার হয় রেব-১১'র তৎকালীন কর্মকর্তা লেফটেন্ট কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেন্ট কমান্ডার এম এম রানাসহ রেবের ১১ জন সদস্য।
আর গত বছরের ১২ নভেম্বর ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় প্রধান আসামি নূর হোসেনকে। এ অবস্থায়, বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওয়াজেদ আলী খোকন।
নিহতদের স্বজনদের অভিযোগ, আসামীদের অব্যাহত হুমকিতে শঙ্কায় তারা।
অবশ্য এ দাবি নাকচ করলেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
চার্জশীটে অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে ২৩ জন কারাগারে থাকলেও এখনো পলাতক রয়েছে ১২ জন।