খালেদা জিয়াকে আজ আদালতে নেয়া হবে না |
খালেদার হয়ে হাজিরা দেবেন উনার উকিল,খালেদা জিয়া জামিন না পাওয়ার সম্ভবনাই বেশি |জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি আজ। আবেদনটি উচ্চ আদালতে রোববারের কার্য তালিকায় রাখা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। খালেদা জিয়ার জামিন হবে কিনা তা জানতে আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন সবাই।খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেছেন, তারা আশাবাদী এ মামলায় জামিন হবে। দুদকের মামলায় ৫ থেকে ১০ বছরের সাজা হলেও আসামির জামিনের নজির আছে। অন্য কোনো মামলায় যদি নতুন করে গ্রেফতার দেখানো না হয় তবে জামিন পেলে খালেদা জিয়ার কারা মুক্তিতে বাধা নেই বলেও জানান তার আইনজীবীরা। এর আগে দায়ের করা চারটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। দুদকের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তারা খালেদা জিয়ার জামিনের বিরোধিতা করবেন। এরপরও জামিন হলে কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে তারা আদেশের বিরোধিতা করে চেম্বার জজ আদালতের দ্বারস্থও হতে পারেন।খালেদা জিয়ার নামে অন্য কোনো মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট আছে কিনা এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শনিবার যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। এ বিষয়ে উনারা ভালো বলতে পারবেন। আমি শুধু বলব, আইন আইনের গতিতে চলবে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে কাউকে কোনো সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে না।
জামিন শুনানির বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্যানেল আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ যুগান্তরকে বলেন, আমরা জামিন শুনানি করব। আশা করছি খালেদা জিয়া জামিন পাবেন। যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে এর কোনো ভিত্তি নেই।
সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন যুগান্তরকে বলেন, আমরা শুনেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে অন্য কোনো মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাবে না। আমরাও আশা করছি তাই। তিনি বলেন, দুদক যেহেতু সাজা বৃদ্ধির কোনো আবেদন করেনি সেহেতু আমরা আশা করছি খালেদা জিয়ার জামিন হলে তারা (দুদক) আপিলে যাবে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জামিন পাওয়ার যোগ্য। সাধারণত যে আসামি পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে তাদের জামিন দেয়া হয় না। কিন্তু এক্ষেত্রে সে সম্ভাবনা নেই। এছাড়া তার বয়স ও তিনি অসুস্থ এসব কারণেও তার জামিন হওয়া উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, খালেদা জিয়ার নামে আগের আরও চারটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেছেন, তাদের কাছে নতুন কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার খবর নেই। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা বা শ্যোন অ্যারেস্টের কপি তাদের হাতে পৌঁছায়নি। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া যুগান্তরকে বলেন, ‘আদালত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মামলায় একটা পরোয়ানা পাঠিয়েছেন। দুদকের পিপি মোশাররফ হোসেন কাজলের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত পিডব্লিউ দিয়েছেন। আজ আমরা বিষয়টি কোর্টকে অবহিত করব। তবে এর জন্য ম্যাডামকে কোর্টে যেতে হবে না।’ তিনি বলেন, ‘জামিন পেলে জেল থেকে মুক্তি বিলম্ব করার কৌশল হিসেবে দুদকের পিপি একটা দরখাস্ত আদালতে দিয়েছেন।’
মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার পক্ষে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এর একদিন পর বৃহস্পতিবার তারা খালেদা জিয়ার জামিনে