বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে আগ্রহের কমতি নেই। কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট কিন্তু বাংলাদেশের মহাকাশ সীমাতে নেই। এটা অনেকের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে যে কেনো বাংলাদেশের ভুখন্ডের উপরে নেই আমাদের স্যাটেলাইট। গুজব মনে হলেও এটাই সত্য, বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট মাহাকাশে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝা-মাঝি ভুখন্ডের উপরে অবস্থান করবে।
বাংলাদেশের স্যাটেলাইটটি মহাকাশে নিক্ষেপ করেছে আমেরিকার স্পেসএক্স প্রতিষ্টান। স্পেক্সএক্স এর তথ্য অনুসারে কক্ষপথে স্যটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯.১ ডিগ্রী পুর্ব দ্রাঘিমাতে । কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থান কখনোই ১১৯.১ ডিগ্রী পুর্ব দ্রাঘিমাতে নয়। বাংলাদেশের ভুখন্ডের অবস্থান ২৪ ডিগ্রি দক্ষিন থেকে ৯০ ডিগ্রি পুর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে।
বিশ্বের মানচিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ১১৯.১ ডিগ্রী পুর্ব দ্রাঘিমাতে অবস্থান করছে ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার একটি অংশ। তার মানে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বাংলাদেশের ভুখন্ডে নয়, বরং এটি অবস্থান করবে ফিলিপাইনের ভুখন্ডের উপরে।
আর যে কারনে অনেকটাই বেকায়দায় পরেছে বাংলাদেশ । ফিলিপাইনের মহাকাশ থেকে বাংলাদেশের দুরত্ব অনেক বেশি হওয়াতে স্যাটেলাইট পরিচালনায় অধিক ব্যয় হবে বাংলাদেশের । এছাড়া বাংলাদেশি টেলিভিশন চ্যানেল গুলোর জন্যেও এটি সুবিধাজনক কোনো অবস্থান নয়।
অন্যদিকে স্যাটেলাইটের কাভারেজ অঞ্চলের ভেতরে আছে- বাংলাদেশ/ফিলিপাইন/ইন্দোনেশিয়া/কাজাকিস্থান/তুর্ক-মেনিস্থান প্রভভৃতি দেশ। এসব বাইরের দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীর সংখ্যাও অনেক কম। সিংহ ভাগ প্রবাসী বাংলাদেশী থাকে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচের অন্যন দেশে। এই স্যাটেলাইট দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে কোনো যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের নিম্নমানের q-Brand এর সংযোগ ব্যাবহার করতে রাজি নয়, বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল গুলো। q-Brand এর সংযোগ ব্যাবহার করে লোকশান গুনতে চান না কোনো চ্যানেল মালিক। এছাড়া q-Brand ব্যাবহার করে নির্বিগ্ন ভাবে টিভি সম্পরচার কাজ চালানো সম্ভব নয়।
কিন্তু বাংলাদেশেরে স্যাটেলাইট কেনো ফিলিপাইনের আকাশে, এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে জানা যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের মহাকাশ সীমায় একটি ভারতের এবং একটি থাইল্যান্ডের স্যাটেলাইট অবস্থান করছে, যে কারনে নতুন করে এই সীমানায় আর স্যাটেলাইট যুক্ত করা হবে না।