মাছ ধরা শুরু হয়েছে কয়েক মাস হতে চলল। অথচ দিঘার সমূদ্রে ইলিশের দেখা নেই। এ নিয়ে আফসোসের অন্ত নেই মৎস্যজীবি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষেরও। বর্ষাকাল অথচ বাঙালির পাতে ইলিশ থাকবে না এমনটা কল্পনা করাও মুশকিল।
কিন্তু এবার মুখ ফিরিয়েছে এই রুপোলী ফসল। বহু চেষ্টাতেও সমুদ্রে ইলিশের ঝাঁক মৎস্যজীবিদের জালে কোনওভাবেই ধরা দিচ্ছিল না। তবে অবশেষে সেই আক্ষেপ এবার কাটতে চলেছে। কারণ, বুধবার দিঘার গভীর সমূদ্র থেকে ফিরে আসা ট্রলারগুলিতে এসেছে বেশ কিছু ইলিশ।
পরিমানে কম হলেও আকারে বেশ বড় এই ইলিশগুলি। ওজন ৫০০ থেকে ১ কেজির কিছুটা বেশী পর্যন্ত। যদিও সংখ্যায় তা কম হওয়ায় দিঘা মোহনা মার্কেটের পাইকারী বাজারে ইলিশ বিকেয়েছে বেশ চড়া দামেই। দিঘা ফিসারম্যান এন্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসসিয়েশনের ডাইরেক্টর নব কুমার পয়ড়্যা জানিয়েছেন, ইলিশ এবার হতাশ করেছে।
এবার লকডাউন এবং নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ১৫ জুন থেকে গভীর সমূদ্রে মাছ শিকারে বেরিয়েছে ট্রলারগুলি। কিন্তু শুরু থেকেই ইলিশের দেখা মিলছিল না। তিনি জানিয়েছেন, এদিন মৎস্যজীবিদের হাত ধরে দিঘার পাইকারী বাজারে এসেছে প্রায় ৭০০ কেজি ইলিশ মাছ।
বিপুল চাহিদা থাকায় এদিন ব্যাপক চড়া দামে বিকিয়েছে ইলিশগুলি। তিনি জানিয়েছেন, ১ কেজির বেশী ওজনের ইলিশের পাইকারী দাম উঠেছে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা প্রতি কেজি। এছাড়াও ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের পাইকারী দর কেজি প্রতি ৬০০টাকা থেকে ৮০০টাকা।
এছাড়াও ৮০০ থেকে ১ কেজির কম ওজনের ইলিশের পাইকারী দর ১ হাজার টাকা থেকে ১২০০ টাকা। তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনে আরও কিছু ট্রলার মাছ নিয়ে ফিরবে। সেগুলিতেও ইলিশ রয়েছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে দিঘার বাজারে ইলিশ কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মৎস্যজীবিরা।