গভীর রাতে ধসে ভেঙ্গে পড়ল একটি আস্ত বাড়ি। স্থানীয়দের তৎপরতায় কোনরকম প্রাণে বাঁচলেন পরিবারের সদস্যরা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানা এলাকায়। সূত্রের খবর, নদীয়ার শান্তিপুর থানার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত ঘোষ। ঘোষপাড়া গ্রামে বসবাস করতেন তিনি। চাষবাসের উপরে তাদের সংসার নির্ভর করে। কোনরকমে দীর্ঘদিন ধরে টাকা জমিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, গতকাল প্রতিদিনের মত পরিবারের এক সদস্য নিয়ে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত বারোটা নাগাদ হঠাৎ বাড়িটি কেঁপে ওঠে। কম্পনের জেরে কয়েকজনের ঘুম ভেঙে যায়। এরপর চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে স্থানীয়রা উঠে এসে দেখেন বাড়িটি ভেঙে পেছনে একটি নিচু জায়গা পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি লোহার গেট খুলে তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করে গ্রামবাসীরা। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পথে পরিবারের বেশ কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। প্রথমে তাদের উদ্ধার করে বাইরে নিয়ে আসা হয়। কোনরকমে ঘরের কিছু আসবাবপত্র বের করা হলেও বেশিরভাগ দামি জিনিসপত্র ঘরের ভিতরেই রয়ে গেছে। ঘটনার জেরে ভিড় জমিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা। গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মণ্ডলের স্বামী আমিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে স্থানীয় বিডিও থেকে শুরু করে থানা এবং ডিআইবিকে জানানো হয়েছে। যেহেতু চাষ করে এই পরিবারের সংসার চলে সেই কারণে এই ক্ষতি হয়তো সামলানো এদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন এলাকাবাসীরা। সে কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনের তরফ থেকে একটি দরখাস্ত করার কথা বলা হয়েছে। তারা আশ্বাস দিয়েছেন যতটা সম্ভব এই পরিবারের পাশে থাকবেন।