সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের, যা ঘিরে ৮ ফেব্রুয়ারি তুলকালাম হয় লোকসভা। নাম উহ্য রেখে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। ৮ ফেব্রুয়ারি সাংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপরে ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময়ই ঘটে এই বিতর্কিত ঘটনা। মহুয়া মৈত্রের বিতর্কিত মন্তব্যের পরই লোকসভায় শুরু হয় তীব্র হইচই, সংসদের কার্যবিবরণী থেকে এটি বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন বিজেপি সাংসদরা। আরএসপি সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রন জানান, মহুয়ার বক্তব্য আপত্তিকর হিসেবে প্রমাণিত হলে তা কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হবে। মোদি সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করেন মহুয়া মৈত্র। শুধু দেশের সরকার নয়, বিচারব্যবস্থা এবং সংবাদমাধ্যমের মতো গণতন্ত্রের অন্যান্য স্তম্ভগুলিও ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য চলাকালিনই তীব্র প্রতিবাদ করেন। আগেভাগে নোটিস না দিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আলোচনা করা যায় না। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মহুয়ার মন্তব্যকে \'লজ্জাজনক\' বলে আখ্যা দেন অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের যুক্তি, মহুয়া মৈত্র কারওর নাম নেননি এবং তিনি এখন অবসরপ্রাপ্ত। তীব্র বাগবিতণ্ডার মধ্যেই আরএসপি সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রনের অনুমতিতে নিজের বক্তব্য শেষ করেন মহুয়া মৈত্র।