এলার্জি কি,কারণ,লক্ষণ এবং তা প্রতিকারের ঘরোয়া উপায় :-
এলার্জি কি ?
এলার্জি হচ্ছে শরীরের এক ধরণের রোগ প্রতিরোধক প্রতিক্রিয়া । এতে কিছু কিছু বাহ্যিক পদার্থের প্রভাবে শরীরের বিশেষ বিশেষ অংশের কোষসমূহে অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ফলে নানা উপসর্গের সৃষ্টি হয়। এলার্জিতে সাধারণত ত্বক, চোখ, নাক ও শ্বাসতন্ত্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি আক্রান্ত হয়ে থাকে, এসবের মধ্যে নাকের এলার্জি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
সমস্যা বা রোগের কারণ :-
এ ধরণের রোগের বহুবিধ কারণ রয়েছে যেমন: বংশগত: যাদের বাবা-মা কিংবা ভাই-বোন এ রোগে আক্রান্ত তাদের পরবর্তী বংশধরদের অনেকেরই এ রোগ হতে পারে।
পরিবেশগত: বাতাসের আদ্রতার তারতম্যের ফলেও এ রোগের উত্পত্তি হতে পারে। কারণ যে বাতাস নাকের মধ্যে দিয়ে নেওয়া হয় সেটা নাকের সূক্ষ্ম কোষকে আক্রান্ত করে ওই ধরণের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
প্রদাহজনিত কারণ:
ভাইরাস, ফাঙ্গাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া নাক, ফুসফুসের কিংবা ত্বকের সূক্ষ্ম কোষের তারতম্যের সৃষ্টি করে এলার্জির জন্ম দিতে পারে।
এছাড়া রাস্তার ধূলোবালি, কার্পেটের অংশ, ফুলের রেণু, চামড়ার লোম, পাখির পালক কিংবা ফাঙ্গাসজাতীয় পদার্থ ইত্যাদি এলার্জি হতে পারে।
রোগের লক্ষণ ও উপসর্গ :-
দেহে চুলকানি কোন নতুন সমস্যা নয়। বিভিন্ন কারণেই দেহে চুলকানি হতে পারে। অনেক সময়ই আমাদের হাতে, পায়ে, পিঠে চুলকানি হয়। তা কোন শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াই হতে পারে কোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ যা আমরা হাত দিয়ে চুলকালেই সেরে যায়। তবে অন্যান্য ধরণের কিছু চুলকানি হয়ে থাকে যেমন, এলার্জি, মশার কামড় কিংবা যেকোন পোকার কামড়, শরীরে কোন জায়গায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ, হাত পা ছিলে গেলে তা শুকানোর সময়ও চুলকানি হয়ে থাকে।
আর এই সমস্যাগুলোতে হাত দিয়ে চুলকিয়েই আরাম পাওয়া যায়না। বেশি সমস্যা থাকলে ডাক্তার দেখাতে হয় কিংবা ঘরোয়া উপায়েও সারিয়ে তোলা যায়। তাই যে কোন রকমের চুলকানি সারিয়ে তুলতে আপনি সাহায্য নিতে পারেন
এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায় :-
এলার্জির কারণে অস্বস্তিতে ভোগেন অনেকেই। যন্ত্রণাদায়ক এই এলার্জি অনেক কারণেই হতে পারে। এলার্জির সমস্যা যে কতোটা তীব্র, তা শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন। এর কারণে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ রাখতে হয় অনেক প্রিয় খাবার। আর চুলকানির যন্ত্রণা তো রয়েছেই। কিন্তু চাইলে খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে বিদায় জানাতে পারেন এলার্জিকে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক-
লেবু
ভিটামিন সি তে ভরপুর লেবু যে কোন চুলকানি খুব সহজেই দূর করে দেয়। বিশেষ করে লেবুর ভোলাটাইল তেল শরীরের যেকোন রকমের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। লেবু টুকরা করে কেটে নিয়ে চুলকানির স্থানে কিছুক্ষণ ঘষুন দেখবেন চুলকানি কবে যাবে।
পেট্রোলিয়াম জেলি
যদি আপনার ত্বক খুব নাজুক হয়ে থাকে তাহলে খুব সহজেই পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন কারণ এর কোন বিপরীত প্রতিক্রিয়া নেই এবং এই জেলিতে কোন ধরণের বিষাক্ত পদার্থ নেই যা আপনার ত্বকের ক্ষতি করবে। তাই শরীরের কোন অংশে চুলকানি হলে আপনি পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে মশ্চারাইজিং ক্ষমতা। এবং এটি আমাদের ত্বকের জন্য খুব ভালো। শরীরের যেকোন জায়গায় চুলকানি হলে অ্যালোভেরা কেটে এক টুকরা নিয়ে সেখানে ঘষুন চুলকানি চলে যাবে।
এই চ্যানেলটি ফলো করুন।