নন্দীগ্রাম আন্দোলন, রাজ্যে দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটার পিছনে অন্যতম কারণ। নন্দীগ্রামের হাত ধরেই রাজ্যে পালাবদলের সূচনা হয়েছিল, সেদিন বিরোধী নেত্রী হিসেবে সোচ্চার হয়েছিলেন \'বাংলার ঘরের মেয়ে\' মমতা ব্যানার্জি। নন্দীগ্রামের কেমিক্যাল হাব বিরোধী আন্দোলন তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারকে কঠিন পরিস্থিতি মুখোমুখি করে। সরকার-বিরোধী এই আন্দোলনে মমতা ব্যানার্জিকে সেদিন যোগ্য সমর্থন করেছিলেন নন্দীগ্রামের \'ভূমিপুত্র\' শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের ১০ হাজার একর জমি কেমিক্যাল হাব করার প্রস্তাব দেয় ইন্দোনেশিয়ার সালিম গোষ্ঠী, এরপরই সিপিএম নেতারা শুরু করেন জমি অধিগ্রহণের কাজ। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিরোধী নেতারা মিলে জমি রক্ষার্থে তৈরি করেছিলেন ভূমি উচ্ছেদ রক্ষা কমিটি, তাঁরা প্রাচীর হয়ে জমি রক্ষার চেষ্টা করেন সেদিন। ২০০৭-র ১৪ মার্চ, সর্বশক্তি দিয়ে নিজেদের জমি রক্ষা করতে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন গ্রামবাসীরা, সেদিন পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসীর।1