আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৭ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তবে ভোকাল কর্ডে সমস্যা থাকার কারণে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।
তবে তার হয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন তার আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ দত্ত। বিভিন্ন আইনি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেয়ার পর কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন হাজী সেলিম।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনি নির্বাচনে বিজয়ী হবেন বলে আশা করছেন? জবাবে হাজী সেলিম আঙুল উচিয়ে ওপরের দিকে ইশারা করতে থাকেন। এর পরপরই বলতে থাকেন ‘নৌকা, নৌকা, নৌকা...।’
এর আগে বুধবার দুপুর আড়াইটায় সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন হাজী সেলিম।
২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে স্ট্রোকজনিত সমস্যায় মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন মদিনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী সেলিম। এরপর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে গত বছর দেশে ফেরেন। তবে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড, ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, পারিবারিক ও সামাজিক সব ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন ইশারা-ইঙ্গিতে। তাকে সহায়তা করতেন তার স্ত্রী গুলশান আরা বেগম ও বড় ছেলে সোলায়মান সেলিম। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বঞ্চিত হলেও এবার দলের মনোনয়ন পেয়ে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন এ সংসদ সদস্য। মনোনয়নপত্র পেয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সবার সঙ্গে অল্পস্বল্প কথাও বলছেন। কোনো বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলার প্রয়োজন পড়লে সহযোগীর সহায়তা নিচ্ছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর তার আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ দত্ত সাংবাদিকদের জানান, ২০১৪ সালে হাজী সেলিম যে অবস্থায় থেকে নির্বাচন করেছিলেন এবারও একই অবস্থায় আছে। তখন আদালতের একটি স্টে অর্ডারের কারণে আমরা নির্বাচন করতে পেরেছিলাম। সুতরাং আমরা এবারও নির্বাচন করতে পারবো বলে আশা করছি।
সকাল ৯টা থেকে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জমাদান প্রক্রিয়া চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আজ (২৮ নভেম্বর)। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। ?