একসঙ্গে অভিনয় করা হিরোইনদের (নায়িকা) প্রচারণায় নামালে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম। পরিস্থিতি সামলে রাখতেই প্রচার-প্রচারণায় নায়িকাদের অংশ নেয়া থেকে বিরত রেখেছেন এ প্রার্থী।
নির্বাচনী জনসংযোগ নিয়ে বুধবার হিরো আলমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় জাগো নিউজের। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী মাঠ এখন আমার দখলে। আমি বাঘের বাচ্চার মতো গর্জে উঠেছি। আর আমার প্রতীক সিংহ। কেউ আমার পক্ষের জোয়ার ঠেকাতে পারছে না। হাজার হাজার মানুষ এখন আমার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে।’
হিরো আলম আওর বলেন, ‘যেখানে যাচ্ছি, সেখানেই হাজার হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছে। আমাকে নিয়ে মোবাইলে সেলফি তুলতে সবাই অস্থির। আমি বের হলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে আগে জানতাম না। আরও যদি আমার হিরোইনদের (নায়িকা) মাঠে নামাই, তাহলে পরিস্থিতি আরও বেসামাল হয়ে পড়বে। তখন আর কিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। এ কারণেই তাদের মাঠে নামতে দিচ্ছি না। তবে নায়িকরা মাঠে নামতে চাইছে। পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেব।’
প্রচারণা নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি শান্তিপূর্ণভাবে মানুষের দ্বারে দ্বারে যেতে পারছি। এখনও কোনো বাধার মুখে পড়িনি। বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যেও এখন পর্যন্ত সংঘাত হয়নি এখানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। মানুষ ঠিকঠাক ভোট দিতে পারলে আমি অবশ্যই জয়ী হব।’
ক্যাবল ব্যবসায়ী থেকে হিরো আলম পরিচিতি পাওয়া এ প্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেয়ার পর থেকে আমার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ইউটিউব চ্যানেলগুলোয় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আমার নামে সার্চ দিচ্ছে। ঢাকা থেকে মানুষ এসে আমার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। আমি খুশি। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির ভোটাররাও এখন আমার পক্ষে ভোট চাইছে।’
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘কমিশন আমার সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করেছে। তারা অন্যয়ভাবে আমার মনোয়ন বাতিল করেছিল। হাইকোর্টে গিয়ে আমি ন্যয় বিচার পেয়েছি। তবে ইসিকে হাইকোর্ট দেখিয়ে ছাড়ছি।’
#HeroAlam