সোমবার বেলা সোয়া ২টা, লিফট থেকে নেমে গাড়ি বারান্দায় দাঁড়ালেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল। পাশে দাঁড়ানো সরকারি এক কর্মকর্তাকে নিজের মোবাইল ফোনটি এগিয়ে দিয়ে একটি নম্বর সেভ করে দিতে বললেন। জী স্যার, এক্ষুনি দিচ্ছি বলে ওই কর্মকর্তা নম্বর সেভ করতে ব্যস্ত হলেন। এ সময় গাড়ির অপেক্ষায় মন্ত্রী একাই দাঁড়িয়ে রইলেন। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ি এসে বারান্দায় থামলে মন্ত্রী এগিয়ে যান। এ সময় তাকে গাড়িতে তুলে দিতে হাতেগোনা ৩/৪ জনকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। গাড়িতে উঠে মন্ত্রী হিসেবে সচিবালয় থেকে বিদায় নেন তিনি।
মিনিট ১৫ পর নেমে আসেন মুজিব কোট পরিহিত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তাকে গাড়ি পর্যন্ত তুলে দিতে ৭/৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। গাড়িতে উঠে তিনি হাত নেড়ে বিদায় জানিয়ে সচিবালয় থেকে বেরিয়ে যান।
এ দৃশ্যপট আজ (সোমবার) সচিবালয়ের ভিতরের। মন্ত্রী হিসেবে শেষ দিনে বিদায় নিতে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী আজ সচিবালয়ে আসেন। বিগত দিনগুলোতে মন্ত্রীকে বিদায় জানাতে অসংখ্য লোকজনের ভিড় থাকলেও আজ তা দেখা যায়নি।
একদিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল, অন্যদিকে নতুন মন্ত্রীদের দফতর সাজাতে কর্মকর্তাদের অধিক ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে লোকজনের উপস্থিতি খুবই কম দেখা যায়।
সোমবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সচিবালয়ে অবস্থানকালে দেখা গেছে পিয়ন, চাপরাশি, ড্রাইভার থেকে শুরু করে সবার মাঝে রোববার (৬ জানুয়ারি) মন্ত্রী পরিষদ সচিব ঘোষিত নবগঠিত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা কে কেমন, মন্ত্রিসভা কেমন হয়েছে, হেভিওয়েট মন্ত্রীদের বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক হলো কি-না তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোশারারফ হোসেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মন্ত্রীত্ব হারানো নিয়ে তুমুল আলোচনা ও মন্তব্য শোনা যায়।
দুপুর দেড়টার দিকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী মান্নান খানকে (নতুন পরিকল্পনা মন্ত্রী) সচিবালয় থেকে বের হতে দেখা যায়। গাড়িতে ওঠার সময় বেশ কয়েক জন কর্মকর্তা তার সঙ্গে সেলফি তোলার অনুরোধ জানান। মন্