বাচ্চার বয়স কতো? সকালে কী খেয়েছে? বাসায় গিয়ে ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়াবেন। শনিবার বেলা ১২টায় আজিমপুর নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মনোয়ারা বেগম নামে এক বৃদ্ধা তার নাতিকে ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়াতে আসলে কর্তব্যরত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) এ প্রশ্নগুলো করেন।
প্রশ্নের উত্তরে সন্তুষ্ট হলেই কেবল ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। শূন্য থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ওই এফডব্লিউভি বলেন, সম্প্রতি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সাধারণ মানুষের মধ্যে অজান্তেই এক ধরনের ভীতি লক্ষ্য করছেন। কোনো একটি শিশু যেন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়ে অসুস্থ হয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে তারা শিশুটির প্রকৃত বয়স, কতদিন আগে সর্বশেষ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল, সকাল থেকে কী কী খাওয়ানো হয়েছে, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়ে বাসায় ফেরার পর শিশুটিকে কী ধরনের খাবার খাওয়াতে হবে সে সম্পর্কে পরামর্শ দিচ্ছেন। সকালের দিকে ভিড় কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকরা শিশুদের টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসছেন বলে ওই তরুণী জানান।
সরেজমিন পরিদর্শন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, আজ রাজধানীসহ সারাদেশে চলমান ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইনে ভারতীয় নয়, দেশীয় কোম্পানির উৎপাদিত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। লাল সবুজের মোড়কের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মেয়াদ সেপ্টেম্বর ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। মোড়কের গায়ে প্রতিটিতে ৫০০ ক্যাপসুল, সংরক্ষণ পদ্ধতি, উৎপাদন লাইসেন্স নম্বর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, ব্যাচ, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা রয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেশের প্রায় আড়াই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম চলছে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় আজিমপুর নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নার্গিস নামে এক গৃহবধূ বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে মানহীন ক্যাপসুল খাওয়ানোর অভিযোগে তা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ৯ ফেব্রুয়ারি পুনরায় তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই সময় পত্রপত্র