দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হলো তাবলিগ জামাতের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। মোনাজাত শেষে রাজধানীমুখী মানুষের স্রোত নামে। ফলে একদিকে দেখা দেয় যানবাহন সংকট, অন্যদিকে চলে চার থেকে পাঁচগুণ বেশি ভাড়া আদায়ের মহোৎসব। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মুসল্লিদের।
ইজতেমার মোনাজাত উপলক্ষে রাজধানীর আজমপুর এলাকায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। গাজীপুর-টঙ্গী থেকে ঢাকাগামী মানুষদের পায়ে হেঁটে উত্তরায় এসে গণপরিবহনে উঠতে হচ্ছে।
ফলে উত্তরা এলাকায় ইজতেমা ফেরত মুসল্লি ও সাধারণ যাত্রীদের বাড়তি চাপে পরিবহন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তারওপর পরিবহনগুলোকে সরকারের বেঁধে দেয়া ভাড়া থেকে কয়েকগুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। এতে মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
বাসগুলো ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে- এমন অভিযোগ করে আকবর আলী নামের এক যাত্রী জাগো নিউজকে বলেন, সুযোগে পেলেই বাসগুলো যাত্রীদের পকেট কাটে। উত্তরা থেকে বাড্ডার ভাড়া ১৫ থেকে বিশ টাকার বেশি হবে না। কিন্তু আজ সুযোগ বুঝে ১০০ টাকা আদায় করছে। এ নৈরাজ্য দেখার কেউ নেই।
বিকাশ পরিবহন উত্তরা থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত হাঁক ডেকে ১০০ টাকা করে চাচ্ছে। উত্তরা থেকে রামপুরা, গুলিস্তানের ভাড়াও ১০০ টাকা নিচ্ছে। আর বনানী মহাখালীর ভাড়া নিচ্ছে ৫০ টাকা।
গণপরিবহনগুলোর বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না মুসল্লি ও সাধারণ যাত্রীরা।
এ বিষয়ে আজমপুর এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আজমল বলেন, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ। তবে ভাড়ার বিষয়টি ট্রাফিক পুলিশ নির্ধারণ করে না। এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।
এদিকে ইজতেমা ময়দানের আশপাশের বাসস্ট্যান্ডগুলোতে দীর্ঘক্ষণ মুসল্লিরা বাসে উঠতে না পেরে অনেককে হেঁটে; কাউকে আবার ট্রাকে করে ঘরে ফিতে দেখা গেছে।
এর আগে, শনিবার সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জোবায়ের হেদায়েতি বয়ান শেষে মোনাজাত শুরু করেন। মোনাজাত চলে বেলা ১১টা ৭ মিনিট পর্যন্ত। শেষ হয় প্রথম পর্বের ইজতেমা।
আগামীকাল রোববার বাদ ফজর থেকে ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীদের পরিচালনায় দ্বিতীয় পর্ব?