বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, নির্বাচনের কারণে প্রশাসন ঢিলেঢালা ছিল তাই পলিথিন ব্যবহারের বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারিনি। শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বাড়িয়ে পাটের বস্তা বা ব্যাগ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
সোমবার সচিবালয়ে জাতীয় পাট দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট সচিব মো. মিজানুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাট পণ্যে ব্যবহারের জন্য পলিথিন ব্যবহার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। কিন্ত হরহামেশায় পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘এতোদিন নির্বাচনের কারণে সবাই নির্বাচনমুখী ছিল, প্রশাসন ঢিলেঢালা ছিল। আমরা এসব বিষয়ে খেয়াল করতে পারিনি। নির্বাচনের পরে আবার দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় চালের বস্তায় পাটের বস্তা ব্যবহার হয় না সেখানে ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ ভ্রাম্যমাণ আদালত বাড়িয়ে পাটের বস্তা বা ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন ২০১০ এর অধীন ১৯টি পণ্যের মোড়কীকরণে পাট পণ্যের বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে দেশের অভ্যন্তরে ১৫০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। পাট চাষীদের উদ্ধুদ্ধকরণের পাশাপাশি পাট শিল্পের সম্প্রসারণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, আমরা ১ লাখ পিস পাট দিয়ে পলিথিনের মতো সোনালী ব্যাগ তৈরি করছি। অল্প সময়ের মধ্যে এসব ব্যাগ বাজারে ছাড়া হবে। দেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ পলিথিনের প্রয়োজন হয় সেখানে এত অল্প পরিমাণ সোনালী ব্যাগ কীভাবে চাহিদা মেটাবে এ বিষয়ে জানতে চাইলেন তিনি বলেন, এটা প্রাথমিকভাবে তৈরি হচ্ছে। পরবর্তীতে আরও বেশি ব্যাগ তৈরি করা হবে। তাছাড়া বাজারে এর চাহিদা যদি বেশি থাকে তাহেল বেসরকারিভাবে সোনালী ব্যাগ তৈরির উদ্যোগ নেয়া হবে।
৫০ শতকে স্থাপিত পাটকলগুলো আমরা কেন সংস্কার করছি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আসলে সবকিছু বাজারের উপর নির্ভর করে। আমরা পাটের বাজার হারিয়ে ফেলেছিলাম। পাটকলগুলোকে সংস্কার করার কথা ভাবিনি। তবে পাটের বাজার মাত্র উঠতে শুরু করেছে। পরিবেশ?