ভ্রমণ পিপাসুদের পছন্দের জায়গা প্রাকৃতিক নৈসর্গে ঘেরা বান্দরবান । যারা ট্র্যাকিং পছন্দ করেন তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। নাফাখুম ও আমিয়াখুম, বান্দরবান শহর থেকে ভোরে থানচির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে। চাঁদের গাড়িতে প্রায় ৩ ঘণ্টা
সময় লাগে থানচি পৌঁছাতে, পাহাড়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা মেঘে ঢাকা। ওপর থেকে দেখলে মনে হয়, ভ্যালিজুড়ে মেঘের চাদর বিছানো। থানচি ঢোকার আগে, থামতে হবে বিজিবি ক্যাম্পে। সেখানে নাম পরিচয় এন্ট্রি করে, অনুমতি নিয়ে ভ্রমণ শুরু করলাম ।
এরপরও এন্ট্রি করতে হয় থানচি, থানা ও বোট ঘাটের বিজিবি ক্যাম্পে । ফর্মালিটিস শেষে রওনা দিলাম,
সাঙ্গু নদী হয়ে রেমাক্রির উদ্দেশ্যে। গাইডের সাথে ইঞ্জিন নৌকায়, স্বচ্ছ পানির উপর ভেসে চলেছি। নৌকায় ২০ মিনিট পেরুলে সবাই নেটওয়ার্কের বাইরে। পাহাড়ের ফাঁকে দু-পাশে নীল আকাশ। পাথরের নদী বেয়ে
স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে চলা । ঘণ্টাখানেক যাওয়ার পর, দু'পাশে বিশাল আকারের পাথর। পাথরের অংশ পার হয়ে হেঁটে,
নদী পার হয়ে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে । আবার নৌকায় উঠি, ১০ মিনিটের মতো হেঁটে । রেমাক্রি পৌঁছাতে মধ্য দুপুর, রেমাক্রি থেকে বামে গেলে নাফাখুম ও আমিয়া খুম।
সামনে এগিয়ে গেলে
এর গন্তব্য আন্ধার মানিক
রেমাক্রি পর্যন্ত গেলে
যানবাহন সুবিধার ইতি
এরপর যেখানেই যাব
সম্বল একমাত্র দুটি পা
রেমাক্রি থেকে নাফাখুম পৌঁছালাম
হাঁটা পথে প্রায় ৩ ঘণ্টা ট্র্যাকিং করে
নাফাখুমে হাল্কা খাবার খেয়ে
জিন্নাহ পাড়ার দিকে রওনা হলাম
এখনো আরো ৩ ঘণ্টার রাস্তা
৬ ঘণ্টা হাঁটার পর
পৌছালাম জিন্নাহ পাড়ায়
আমরা ২ রাত ছিলাম
এই ছোট পাহাড়ের ওপর
একটি দোতালা কাঠের ঘরে
আমাদের থাকার ব্যবস্থা হল
এখানে ঘরের মেঝে
বাঁশের মাচা দিয়ে তৈরি
খাবারের মেন্যুতে ছিল-
জুম চালের ভাতের সঙ্গে
পাহাড়ি মুরগির মাংস
চোখ ধাঁধানো প্রাকৃতিক পরিবেশ
সাথে নির্ভেজাল খাবারের স্বাদ ও গন্ধ
এখানে আসার সমস্ত ক্লান্তি ভুলে
আমরা সকলে আনন্দে মেতে উঠলাম