বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : স্ত্রী বাসে ওঠার সময় আচমকা বাস ছেড়ে দিলে পড়ে গিয়েছেলেন।আর তা নিয়ে বাসের চালক ও কন্ডাকটরের সাথে কথা কাটাকাটি হয় মেজিয়ার লালবাজার গ্রামের বাসিন্দা সরফুল খানের।পরে ওই বাসটিকে গ্রামে আটকে তিনি সেদিনের ঘটনার প্রতিবাদ করেন।সেই সময় ওই গ্রামেরই দুই বাসিন্দা সেখ সামিম ও সেখ হাবিবুল বাস আটকানোর ঘটনায় আপত্তি করলে সরফুলের তাদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।এবং পরিস্থিতি উতপ্ত হয়ে উঠলে ওই দুই জন মিলে সরফুল কে বেধড়ক মারধরও করে। ফলে মৃত্যু হয় সরফুল খান নামে ৫৭ বছরের ওই প্রৌঢ়ের।মৃতের পরিবারের লোকের দাবী,সেখ সামিম ও সেখ হাবিবুল সহ গ্রামের কয়েক জন মিলে পিটিয়ে খুন করেছে সরফুল কে। এর পরই গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ পথ অবরোধ করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেজিয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
অন্যদিকে,পুলিশ খোঁজ নিয়ে জেনেছে, সরফুল দীর্ঘদিন ধরে হৃদ রোগে ভুগছিলেন।তা ছাড়া সরফুলের মৃতদেহে বড়ো কোন আঘাতের চিহ্ণ নাই।ফলে,তার এই মৃত্যু মারধরের জন্যই হয়েছে?না তিনি, উত্তেজনায় হৃদ রোগে আক্রন্ত হয়ে মারা গেছেন? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সেই মতো এই ঘটনার তদন্ত এগোবে বলে পুলিশ সুত্রে খবর।
জানা গেছে, অভিযুক্ত দুইজনই গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মেজিয়া থানার পুলিশ।