১৫ রাউন্ড গুলির তিনটিই রঞ্জিতকুমার সারেঙ্গিকে। জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ, পুলিশ সূত্রে খবর। ১৯ এপ্রিল জাদুঘরে গুলিকাণ্ডে অক্ষয়কুমার মিশ্রের কাশ্মীরে পোস্টিং হয়। কাশ্মীরে যাওয়ার পর গুলিকাণ্ডে ধৃত অক্ষয়কুমার মিশ্রের বাবা মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর ৩৫ দিন ছুটি নেয় অক্ষয়কুমার। প্রথমে ২৫ দিন, পরে আরও ১০ দিন ছুটি নেয় অক্ষয়কুমার। তারপর এসে ডিউটিতে যোগ দেন জাদুঘরে ধৃত। প্রথমে কাজ করত সিআইএসএফের কোম্পানি মাস্টার হাবিলদার পোস্টে। পরে জুন মাসে যোগ দেন সিআইএসএফের কোত মাস্টার পদে। অস্ত্রশস্ত্র পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন ধৃত অক্ষয়কুমার। এই ডিউটিতে খুশি ছিল না অক্ষয়কুমার মিশ্র। এইসময় সহকর্মীরা টিপ্পনি কাটত। তাতে মেজাজ হারিয়ে ডিপ্রেশনে ভুগতেন অক্ষয়কুমার। অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে গরমিল হলে ফেঁসে যাওয়ার ভয় পেত অক্ষয়কুমার। ডিউটি নিয়ে বিরক্ত ছিল, জানিয়েছিল পরিবারকেও। অক্ষয়কুমারকে জেরায় জানতে পেরেছে পুলিশ। ডিউটি নিয়ে টেনশনে ছিল, ডিপ্রেশনের জেরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ছুটি নিয়ে ক্ষোভ নয়, ক্ষোভ ছিল পোস্টিং নিয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর।