২১২ দিনের অবস্থান। যোগ্যরা রাস্তায়। তাঁদের চাকরির বন্দোবস্ত না করে উল্টে আদালতের নির্দেশে বরখাস্ত, এমন প্রার্থীদের হয়েই সওয়াল করছেন মুখ্যমন্ত্রী! এই অভিযোগ তুলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা শিক্ষাকর্মী মীরাতুন নাহারের। এমনকি সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রাথমিকে পড়ানোর সিদ্ধান্তেরও কড়া সমালোচনা করলেন তিনি। টেটের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে এ দিন মীরাতুন নাহার বলেন, “পুলিশ মহলকে শিক্ষা দফতরে নিয়োগকর্তা হিসাবে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁদেরকে নিয়োগ করার কথা বলা হচ্ছে, যারা সিভিক ভলান্টিয়ার। আমরা তো দেখেছি, আনিস খান হত্যার ক্ষেত্রেও সিভিক ভলান্টিয়াররা কাজ করেছে। এখন তো হার্ট ফেল করার মতো অবস্থা, প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষক হিসাবেও সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে। যোগ্যরা রাস্তায় বসে রয়েছে, রাজ্যে কি শিক্ষকের অভাব পড়েছে?” মীরাতুন নাহারের সুরে সুর মিলিয়ে একই বক্তব্য রেখেছেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী কয়াল। আন্দোলনকারীদের তরফে পিয়ালি গুছাইত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। যেখানো গোটা শিক্ষা দফতর জেলে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী একটা কথাও বলছেন না। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তাঁর ঘুম ভাঙাতে চাইছি।” এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে ৫০ লক্ষ মানুষের সমর্থন আদায় করা হবে। সেই স্বাক্ষর সংগ্রহ করে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার কথাও ভাবছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা।