জিঘাটিতে পুকুর পাড় থেকে উদ্ধার হাড়গোড়ের রহস্যভেদ।

Bankura24x7 2023-05-27

Views 84

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : পুকুরের পাড় থেকে উদ্ধার হল বেশ কিছু হাড়গোড়। আর এই হাড়গোড় ও কঙ্কালের অবশেষ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি থানার বড়বাইদ গ্রামের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ। পুলিশ পড়ে থাকা হাড়গোড় ও কঙ্কাল উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত এবং ফরেনসিক পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এদিকে,এই উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় তার নিখোঁজ থাকা বাবার বলে সনাক্ত করেছেন পাশ্ববর্তী মেজিয়া থানা এলাকার রানীপুর গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ ভুঁই। আনন্দ বাবু হাড়গোড়ের সাথে উদ্ধার হওয়া জামা কাপড়ের অবশেষ এবং ডান পায়ের হাড়ের সাথে লোহার রড,যা আগে অস্ত্রপ্রচার করে লাগানো হয়েছিল তা দেখে নিশ্চিত হন যে এই দেহাবশেষ তার বাবার। গত ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। সেই সময় অনেক খোঁজখুজি করেও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এবং মেজিয় থানায় নিখোঁজ ডাইরিও দায়ের করেন আনন্দ বাবু। কিন্তু প্রায় দেড় বছর কেটে গেলেও পুলিশও কোন খোঁজ পায়নি নিখোঁজ ব্যক্তির। অবশেষে আজ উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় ওই নিখোঁজ ব্যক্তির বলে দাবি করার পর এই নিখোঁজ কান্ডের তদন্ত নয় মোড় নিল তা বলাই বাহুল্য। তবে ছেলে আনন্দের দাবি,এই ঘটনার সাথে খুনের কোন যোগ নেই।তার বাবা সামান্য মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ছিলেন।বাড়ি থেকে পুকুরে প্রাত:কৃত্য করতে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছিলেন। তার পর আর বাড়ি ফেরেন নি।
এদিকে আনন্দ বাবুর দাবি যাচাই করতে প্রাথমিক তদন্ত ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে পুলিশ। তবে আইনি ভাবে সনাক্তকরণে শীলমোহর দিতে হলে ডিএনএ পরীক্ষা করানোই একমাত্র পথ। তার আগে এই হাড়গোড়ের ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট প্রয়োজন।এই রিপোর্ট হাতে এলে পুলিশ পরে ডিএনএ পরীক্ষার পথে হাঁটতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Share This Video


Download

  
Report form
RELATED VIDEOS