সংবিধানের আর্টিকেল ৬৬ অনুযায়ী খালেদা জিয়া নির্বাচনের সুযোগ পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, ‘আইন যদি তার নিজস্ব গতিতে চলে এবং নির্বাচন কমিশন যদি ফেয়ারলি ডিসাইট করেন তবে নির্বাচন কমিশন থেকেই বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে রায় আসবে বলে। আর্টিকেল ৬৬-তে দেয়া আছে- সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক (সাজা হলে)। আপিল হচ্ছে কন্টিনিউয়াস অব ট্রায়াল। খালেদা জিয়ার যে দুটা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে দুটারেই আপিল করা হয়েছে। আপিলের রায় এখনও আসে নাই। তাছাড়া অতীতের অনেক নজিরও রয়েছে। আশা করবো সেসব বিবেচনা করে কমিশন রায় দেবেন।’
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ফেনী-১ আসন থেকে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বগুড়া-৬ থেকে আইনজীবী নওশাদ জমির ও বগুড়া-৭ আসন থেকে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার খালেদা জিয়ার পক্ষে আপিল করেন।
আপিল প্রক্রিয়া শেষে ফেরার পথে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, ‘আইন বহির্ভূত ও অন্যায়ভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা খালেদা জিয়ার ফেনী-১ বগুড়া-৬ ও ৭ আসনের মনোনয়ন ফরম বাতিল করেছেন। যেটা সরকারের যড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি। আজকে আমরা তিন আইনজীবী খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেছি।’
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘জাতি তাকিয়ে আছে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া যে নির্বাচন হবে তা হবে প্রহসনের নির্বাচন। দেশের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে ও আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতির জন্য নির্বাচন কমিশন সুবিচার করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
কমিশন যদি আপিলে সুবিচার না করে সেক্ষেত্রে আপনারা কী করবেন- জানতে চাইলে খালেদার এই আইনজীবী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আইন যদি ফলো করা হয়; কমিশন যদি আইন ফলো করেন তবে যে আইনে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে তা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি কমিশন আইনগতভাবেই বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’
আইনের ব্যাখ্যা আদালত ও নির্বাচন কমিশন দিয়েছে, এরপরও কেন দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মনোনয়ন ফিরে পাবার আশা করছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার কায়সার ক?