মতিন রহমান
আসলে সবার শৈশবটা মধুর থাকে। আমার শৈশব কেটেছে নওগা জেলার শাহাপুর গ্রামে। সেখানে আমার জন্ম হয়েছে ননার বাড়িতে। নওগাতে এবং শান্তাহারে দুই এলাকায় পড়ালেখা করে আমার বেড়ে উঠা।
শৈশব বলতে শৈশবের স্মৃতি তো সবার জন্য মধুর থাকে। সেই গ্রামের পাঠশালা, গ্রামের হাট কিংবা শান্তাহার স্টেশনের সেই গাড়ির ঝম্ঝম্ অথবা নওগার সেই যমুনা নদী সবকিছু একটা স্মৃতিকাতর জায়গা। এখানে আমার বেড়ে উঠা। আমি গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করি নওগাতে এবং সেখান থেকে ডিগ্রী পাস সমাপ্ত করে ঢাকায় চলে আসলাম।
আমার চলচ্চিত্রে আসার পেছনে কিছু পেছনের ইতিহাস কাজ করেছে। আমার বড় মামা আজিজুর রহমান এদেশের খুব নামকরা একজন পরিচালক। উনি যখন গ্রামে আসতেন তখন তাকে দেখার জন্য, তার কাছে যাওয়ার জন্য, তার কথা শোনার জন্য প্রচুর লোক ভিড় করতো। আমার আরেক মামা শিক্ষা কমিশনের অফিসার ছিলেন।
তখন থেকে আমার পেছনে একটা চিন্তা কাজ করেছিল যে আমি এমন পেশাতে যাবো যাতে মানুষ হয়তো আমাকে একটু চিনবে। আমাকে নিয়ে একটু কৌতূহল থাকবে সেই হিসাব করে ঢাকা শহর আসা এবং এসে ঢাকা ফিল্ম ইনস্টিটিউট সেই ১৯৭২ সালে সেখান থেকে আমি কোর্স করি। পরিচালক আজিজুর রহমানের কাজ থেকে ফিল্ম ওয়ার্কের কাজ শেখা শুরু।
আমার প্রথম ছবি ১৯৮২ সালে নির্মিত। ছবির নাম-লাল কাজল। এ নামের পেছনে কাজ করেছিল-এটিএম শামসুজ্জামান।
আমার বাবা-মা আজ বেঁচে নেই। আমরা ছয় ভাই দুইবোন । আমার বড় মেয়ে নওরিন সে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছে। ছোট মেয়ে নওসিন পড়ছে ফ্যাশন ডিজাইনার। আমার ছেলের নাম মৃত্তিক।
ছোটবেলায় প্রচুর সিনেমা দেখতাম। এতবেশি সিনেমা দেখতাম তার জন্য বাবার হাতে মার খেতে হয়েছে। ভাইয়ের হাতে মার খেতে হয়েছে।
অনেক স্মুতি আছে, যে একদিন সিনেমা দেখতে সিনেমা হলে সিনেমা দেখছি। হঠাৎ আামর কানটা ধরে কে যেন টানছে। সে আলো-আঁধারিতে দেখলাম আমার বড় ভাই যে আমাকে সিনেমা হল থেকে বাড়িতে নিয়ে এসে গণ ধোলাই দিতেন আরকি।
আমার নির্মিত ২৪ ছবি রিলিজ হয়ে গেছে। ২০০৮ সালে শেষ ছবিটি-তোমাকেই খুঁজছি ছিল। ২০০৪ সালে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছি। গবেষণা করছি।