গীতিকার শহীদউল্লাহ ফরায়জী
ইউরোবিডিনিউজ অনলাইন ডটকম এর তারকা ভিডিও সাক্ষাৎকারে উল্লেখযোগ্য কিছু কথা নিম্নে তুলে ধরা হলো:
* আমার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর তারাকান্দি থানার বকশিমূল গ্রামে। ওখানে আমি ছোট থেকে বড় হয়েছি।
* বাবার সাথে আমার কোন স্মৃতি নেই। আমার যখন ১ বছর বয়স তখন বাবা মারা যান। শুধু মা'কেই দেখেছি, মা মানেই বাবা-মা মনে করতাম।
* আমি সব সময় সতর্ক থাকতাম। কারন মা বলতেন তোমার বাবা নাই তুমি যদি কোথায়ও খেলতে যাও, ব্যথা পাও, ডাক্তারের কাছে কে নিয়ে যাবে?
* আমরা দুই ভাই দুই বোন। আমি সবার ছোট।
* যখন আমি ক্লাস ফোর ফাইভে পড়ি তখন থেকে গান লেখার ইচ্ছা হলো।
* সিক্সে যখন পড়ি তখন রেডিওতে ২৫ টি গান পাঠাই, ১০ বছর পোষ্ট অফিসে যাই কিন্তু আমার নামে কোন চিঠি আসেনা। ১৯৯০ সালে আমি রেডিওর চিঠি পাই।
* ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম বিপ্লবী হবো। সমাজ পরিবর্তন করবো।
* মানুষের মহত্তম সৃষ্টি হচ্ছে গান।
* ১৯৯০ সালে ৪ আগষ্ট বিটিতে আমার প্রথম গান প্রচারিত হয়েছে।
* আমার জম্ম ১৯ জুলাই ১৯৫৮ সালে। আমি কোনো জাতকে বিশ্বাস করি না।
* আমার পছন্দ প্রিয়জনদের সাথে আড্ডা দেয়া দ্বিতীয়ত বই পড়া।
* আমি একটা উপন্যাস লেখা শুরু করেছি। এটাই প্রথম এটাই শেষ উপন্যাস। আমার উপন্যাসের ভেতর নৈতিকতাকেই প্রধান্য দিতে চেয়েছি। আমাদের নৈতিকতা কি হওয়া উচিত। মানুষতো শ্রেষ্ঠ আমরা কি শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় দিতে পারি না!
* সুখে দুঃখে আমি গানের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি।
* আমার গানের ভেতর দঃখ বোধটাই বেশি পরিমান এসেছে। জন্মতভাবেই মানুষ বিরহী এ কারণেই বিরহটাকেই আমি প্রাধ্যান্য দিয়ে এসেছি।
একটা জাতীয় চেতনার মান নির্ধারিত হয় গানের মাধ্যমে। গানের মান যত দুর্বল হবে জাতীয় চেতনার মানও দুর্বল হয়ে যাবে; গানের মান যত বাড়ে জাতীয় চেতনার মানও তত বাড়বে।
* আমাদের আজীবন বাঙালী থাকা উচিত, প্রতি মুহূর্তে বাঙালী থাকা উচিত, আমৃত্যু বাঙালী থাকা উচিত। বাঙালী থাকার জন্য বাংলাকেই ভালবাসতে হবে, বাংলার মাটিকেই ভালবাসতে হবে, বাংলার সংস্কৃতিকেই ভালবাসতে হবে।